২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও সরকারের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফলে ৮,৯০০টি গাড়ি আমদানির মাধ্যমে মোংলা বন্দরে গাড়ি আমদানি শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে এ বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি বাড়তেই থাকে।
তারই ধারাবাহিকতায় বিগত বছরের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে সর্বোচ্চ ২০,৮০৮টি গাড়ি আমদানি হয় এই বন্দর দিয়ে। প্রতি বছরই মোংলা বন্দর দিয়ে ১৩% হারে গাড়ি আমদানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে সমুদ্র বন্দর দিয়ে সমগ্র বাংলাদেশে গাড়ি আমদানি হয়েছে ৩৪,৭৮৩ (চৌত্রিশ হাজার সাত শত তিরাশি) টি। এর মধ্যে চট্রগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হয় ১৩,৯৭৫ (তের হাজার নয় শত পঁচাত্তর) টি, বাকি ২০,৮০৮ টি গাড়ি আমদানি হয়েছে মোংলা বন্দর দিয়ে।
গাড়ি আমদানি চালু হওয়ার ১৪ বছর পর এই প্রথম চট্রগ্রাম বন্দরকে পিছনে ফেলে সর্বোচ্চ গাড়ি আমদানির রেকর্ড গড়ল মোংলা বন্দর। সেদিক থেকে এই অর্থ বছরের মোট আমদানিকৃত গাড়ির ৬০% আমদানি হয়েছে মোংলা বন্দর দিয়ে ও বাকি ৪০% গাড়ি আমদানি হয়েছে চট্রগ্রাম বন্দর দিয়ে।
মোংলা বন্দরে গাড়ি আমদানি বৃদ্ধির কারণ-
১. আমদানি কারকদের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরণের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা।
২. বন্দর থেকে আমদানিকৃত গাড়ি স্বল্প সময়ের মধ্যে খালাসকরণ।
৩. আমদানিকৃত গাড়ি রাখার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের উন্নতমানের শেড ও ইয়ার্ড নির্মাণ।
৪. আমদানিকৃত গাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সার্বক্ষণিক টহল ও সি.সি ক্যামেরা মনিটরিং ব্যবস্থা।
২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় এখন মোংলা বন্দর থেকে ঢাকায় যেকোন পণ্য পরিবহণে সময় লাগবে মাত্র ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা। ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম বন্দরের দূরত্ব ২৬০ কিমি, সেখানে ঢাকা থেকে মোংলা বন্দরের দূরত্ব ১৭০ কিমি। ফলে তুলনামূলক একটি গাড়ি বন্দর থেকে খালাসের পর খুবই কম সময়ে, ও স্বল্প খরচে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছাতে সক্ষম হবে বিধায় মোংলা বন্দর ব্যবহার করে গাড়ি আমদানি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।